জাতীয় ইমাম ও খতিব সংস্থা বাংলাদেশের উদ্যোগে ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ গঠনে ইমাম ও খতিবদের করণীয় শীর্ষক জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (৩ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ইমাম ও খতিব এ দুটি শব্দ অত্যন্ত ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার। ইসলাম যেমনিভাবে একজন ইমাম ও খতিবকে মযার্দা দিয়েছে তেমনিভাবে আমাদের সমাজের সাধারণ মুসলমানগণও ইমাম ও খতিবদেরকে অত্যন্ত সম্মান ও মর্যাদার দৃষ্টিতে দেখে থাকে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আমাদের প্রচলিত রাষ্ট্র কাঠামোয় মানুষের ব্যক্তি জীবনের যে কোনো বিষয়ে ইমাম-খতিবদের মতামতকে যেমন গ্রহণ করা হয় তেমনিভাবে সামাজিক অন্যান্য ক্ষেত্রে ইমাম-খতিবদের মতামতকে মূল্যায়ন করা হয় না।
তারা বলেন, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, ইমাম খতিবরাই বরং সমাজে সবচেয়ে অধিক বৈষম্যের শিকার। সুতরাং বৈষম্যহীন, ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ গঠন করতে হলে প্রথমেই প্রয়োজন সামাজিক যে কোনো বিষয়ে ইমাম ও খতিবদের মতামতকে অগ্রাধিকার দেওয়া। পাশাপাশি ইমাম ও খতিবদের করণীয় হলো, ইনসাফ কায়েম করার ক্ষেত্রে কোরআন ও সুন্নাহর যে সমস্ত বিধি বিধানগুলো রয়েছে তা যথাযথভাবে সাধারণ জনগণের সামনে তুলে ধরা।
সভাপতি মুফতি আবু তাহের আল মাদানির সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মু. আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে অতিথি বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের, আন্তর্জাতিক ক্বেরাত সম্মেলন সংস্থা বাংলাদেশের সভাপতি হাফেজ মাওলানা তৈয়ব, খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির মাওলানা মজিবুর রহমান হামিদী, মাওলানা আতাউর রহমান আতিকী প্রমুখ।
ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, জাতির এ ক্রান্তিলগ্ন ও দুর্দিনে সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে সবাইকে জাতীয় ইমাম ও খতিব সংস্থা বাংলাদেশের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত ইমাম-খতিবগণ বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অর্জিত বাংলাদেশে ইনসাফ, ন্যায় বিচার ও মানুষের অধিকার সুষম বণ্টনে ইমাম-খতিবদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব রয়েছে, কিন্তু এ দায়িত্ব পালনে ইমাম-খতিবগণ ক্ষমতাসীন ও প্রভাবশালীদের আধিপত্যের কারণে বার বার ব্যর্থ হয়, তাই আমরা চাই ইমামগণ যেন স্বাধীনভাবে কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে নির্দিধায় ধর্মের মৌলিক কথাগুলো মানুষের মাঝে তুলে ধরতে পারে এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ হতে যেনো একটি পরিপত্র জারি করা হয়।