শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ২৪৪ রান কম নয়। বেশ ভালো চ্যালেঞ্জিং স্কোর। তবে বাংলাদেশ ব্যাটিং করার সময় যেখানে মনে হয়েছিলো আউটফিল্ড খুব স্লো, সেখানে আফগানিস্তান ব্যাট করার সময় আউপফিল্ড অনেক ফাস্ট।
সে সঙ্গে ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠা রহমানুল্লাহ গুরবাজ আর আজমতউল্লাহ ওমরজাই তো রয়েছেনই। এই দুই মারকুটে ব্যাটারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ১০ বল বাকি থাকতেই ৫ উইকেটের ব্যবধানে জয় তুলে নেয় আফগানিস্তান।
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ বাংলাদেশ হারলো ২-১ ব্যবধানে। গুরবাজ করেন অসাধারণ এক সেঞ্চুরি। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৯৮ রানে থেমে গেলেও গুরবাজ তার ইনিংসকে তিন অংকের ঘরে নিয়ে যান। আউট হন ১০১ রান করে। আজমতউল্লাহ ওমরজাই অপরাজিত থাকেন ৭০ রানে।
অবশ্য শুরুতে কয়েকটি ক্যাচ মিস এবং একটি স্ট্যাম্পিংয়ের সহজ সুযোগ মিস করার ফলেই এই পরাজয়টা বরণ করে নিতে হলো। অথচ, ক্যাচ মিস তো ম্যাচ মিস।
২৪৫ রানরে লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা আফগানদেরও শুরুতে চেপে ধরেছিলেন বাংলাদেশ দলের বোলাররা। নাহিদ রানার বলে বোল্ড হন সেদিুকল্লাহ আতাল। এরপর রহমত শাহ আউট হন ৮ রান করে। অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদি ২১ বলে ৬ রান করে আউট হয়ে যান।
৮৪ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর রহমানুল্লাহ গুরবাজ এবং আজমতউল্লাহ ওমরজাই জুটি বাঁধেন। এ দুজনের ব্যাটে গড়ে ওঠে ১০০ রানের জুটি। এর মধ্যে ১১৭ বলে সেঞ্চুরি পূরণ করেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ।১৮৪ রানের মাথায় মেহেদী হাসান মিরাজের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন গুরবাজ। এরপর গুলবাদিন নাইব এক রানে আউট হন। ১০১ রান করে গুরবাজ এবং শেষ মুহূর্তে ২৭ বলে ৩৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন মোহাম্মদ নবি। ২টি করে উইকেট নেন নাহিদ রানা এবং মোস্তাফিজুর রহমান। একটি উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ।