ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো নাকি ভীষণ ভালো নাচেন, একেবারে নৃত্যপটীয়সী বলতে যা বোঝায় আরকি! ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে সবাই বিশ্বসেরা ফুটবলার হিসেবেই জানেন। পর্তুগিজ সুপারস্টার নাকি আরও অনেক কিছুতেই দক্ষ! যা ভক্ত-সমালোচকরা কিছুই জানেন না। একটি পডকাস্টে পর্তুগাল জাতীয় ফুটবল দলে রোনালদোর দীর্ঘদিনের দুই সতীর্থ বার্নার্দো সিলভা ও ব্রুনো ফার্নান্দেজ তেমনই তথ্য দিয়েছেন । সেসব গুণের কয়েকটি উন্মোচনও করেছেন এ দু’জন।
রোনালদোর সাবেক ম্যানইউ সতীর্থ ব্রুনো বলেন, ‘আমার মনে হয়, তাঁর এমন অনেক বিষয় আছে, যা আপনারা জানেন না। সে কীভাবে জীবনযাপন করছে, সেসব জানার জন্য অবশ্যই আপনাকে সার্বক্ষণিক তাঁর পাশে থাকতে হবে। এই যেমন, সে ভীষণ ভালো নাচে। বিভিন্ন ধরনের নাচের মুদ্রায় সত্যিকার অর্থেই সে অসাধারণ।’
ম্যানসিটি তারকা বার্নার্দোও ফাঁস করেছেন রোনালদোর কিছু গোপন বিষয়, ‘আমার মনে হয়, সবাই জানে, সে ভীষণ সুশৃঙ্খল একজন মানুষ। সবাই হয়তো ভাবে দৈনন্দিন কাজকর্ম বুঝি সে একেবারে ঘড়ি ধরে সম্পন্ন করে। কিন্তু আদতে সে নিয়মিত খাওয়া-দাওয়াই করে না। আমি যতদূর জানি, কেবল লাঞ্চ ও ডিনার করে। এর মধ্যে সে কোনো খুচরা খাবার খায় না। আমার মনে হয়, তার সম্পর্কে এই কৌতূহলটা প্রায় সবারই রয়েছে।’
রোনালদোর সঙ্গে দু’জনের প্রথম সাক্ষাতের স্মৃতিও তুলে ধরেছেন পডকাস্টে। ব্রুনো বলেন, এটা মজার ছিল, একই সঙ্গে আমার জন্য বেশ আবেগেরও। আমি যখন প্রথম জাতীয় দলের ক্যাম্পে যাই, তখন পর্তুগাল দলে দারুণ সব খেলোয়াড় ছিলেন, ছেলেবেলা থেকেই যারা ছিলেন আমার নায়ক। আমি আবার বেশ লাজুক ছিলাম। কারও সঙ্গে বেশি কথা বলতে পারতাম না। কিন্তু ক্রিশ্চিয়ানো এসেই আমার সঙ্গে কথা বলতে শুরু করল। সে আমার নাম বলল... আরও বলল, সে নাকি আমার খেলা দেখেছে, আমাকে গোল করতে দেখেছে! আমার মনে আছে, তার কথায় আমি এতটাই খুশি হয়েছিলাম যে, বাড়ি ফিরে সবাইকে বলেছিলাম ‘ক্রিশ্চিয়ানো আমার নাম জানে, আমার খেলা দেখেছে!’ বার্নার্দো নাকি জাতীয় দলে প্রথম দিনের অনুশীলন শেষে বাসে উঠে কোথায় বসবেন, সেটা বুঝতে পারছিলেন না। তখন কয়েকজন সিনিয়র খেলোয়াড় একটি খালি আসন দেখিয়ে সেখানে বসতে বলেন। কিন্তু সেটা ছিল ক্রিশ্চিয়ানোর আসন।
ক্রিশ্চিয়ানো বাসে ওঠে তাঁর জায়গায় বার্নার্দোকে বসে থাকতে দেখে নাকি রাগ করেননি, বার্নার্দো উঠে যেতে উদ্যত হলে হাসতে হাসতে বলেছিলেন ‘অবশ্যই তুমি এখানে আমার সঙ্গে বসতে পারো’! আমার বয়স তখন মাত্র ২০। সবাই আমাকে নিয়ে তখন মজা করলেও ক্রিশ্চিয়ানো আমাকে আপন করে নিয়েছিল। পর্তুগালের হয়ে ২১৬ ম্যাচে রেকর্ড ১৩৩ গোল করা এ তারকা আজ উয়েফা নেশন্স লিগে পোল্যান্ডের বিপক্ষে নামবেন নিজের রেকর্ডকে আরও সমৃদ্ধ করতে।