শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি সংস্থা যা ব্যবসা পরিচালনার সফ্টওয়্যার সরবরাহকারী ট্যালি সলিউশন, ৫ টি বিভাগে ২৫ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করে ট্যালি এমএসএমই সম্মাননা ২০২৪-এর চতুর্থ সংস্করণ সফলভাবে উদযাপন করেছে। এমএসএমই ইকোসিস্টেমে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য বিজয়ীদের এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সম্মানিত করা হয়। এই অনুষ্ঠানটিতে উল্লেখযোগ্য ব্যবসা, উদ্যোক্তা এবং পেশাদারদের সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে যারা তাদের স্ব স্ব ক্ষেত্রে অটল প্রতিশ্রুতি, উদ্ভাবন এবং স্থিতিস্থাপকতা প্রদর্শন করেছে।
ইভেন্টটি পাঁচটি স্বতন্ত্র বিভাগে বিজয়ীদের সম্মানিত করেছে: ওয়ান্ডারওম্যান, বিজনেস মাইস্ট্রো, নিউজেন আইকন, টেক ট্রান্সফরমার এবং চ্যাম্পিয়ন অফ কজ। প্রতিটি বিভাগ তাদের ব্যবসায়িক প্রেক্ষাপটে এই এমএসএমই-গুলোর অনন্য এবং রূপান্তরকারী অবদানকে তুলে ধরেছে। এই বছর এমএসএমই সম্মাননা বাংলাদেশের বিভিন্ন শহর থেকে ৬০০টিরও বেশি মনোনয়ন পেয়েছে। বাংলাদেশে অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ (এমএসএমই) সম্মাননাপ্রাপ্তদের সমর্থন ও সংবর্ধনা দিতে বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট অতিথি উপস্থিত ছিলেন, যাদের মধ্যে ছিলেন আইসিএবি-এর প্রাক্তন সভাপতি মিসেস পারভীন মাহমুদ, এফসিএ; এভিন্স গ্রুপ-এর পরিচালক শাহ রায়েদ চৌধুরী; রানার গ্রুপ-এর গ্রুপ ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. নজরুল ইসলাম এফসিএ; গাজী ট্যাঙ্কস-এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আনন্দ চন্দ্র নাহা; বিওয়াইডি-এর ডিজিএম ও হেড অফ মার্কেটিং ইমতিয়াজ নওশের এবং রানার অটোমোবাইলস পিএলসি-এর সিএফও শানাত দত্ত।
ট্যালি সলিউশনস বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সালাহউদ্দিন সানজি এ বছরের সম্মাননাপ্রাপ্তদের নিয়ে গর্ব প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “এমএসএমই সম্মাননা তৃণমূল পর্যায়ে এমএসএমইর বৈচিত্র্য এবং ইতিবাচক প্রভাবকে তুলে ধরে। এই প্ল্যাটফর্মটি তাদের প্রতিশ্রুতি, উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা এবং শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের প্রচেষ্টাকে সম্মানিত করার একটি উদ্যোগ যা সত্যই উদীয়মান উদ্যোক্তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে। এমএসএমই অনার্স হল সাফল্যের গল্পকে প্রদর্শন করার একটি প্ল্যাটফর্ম যা অগণিত উদ্যোক্তাকে সংকল্পের সাথে তাদের স্বপ্নকে অনুসরণ করতে অনুপ্রাণিত করে। এটি বাংলাদেশ সরকারের লক্ষ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ যা নেতৃত্ব প্রদানকে উৎসাহিত করছে এবং জাতীয় অর্থনীতির উন্নয়ন ও বৈচিত্র্যে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ খাতের ভূমিকা বাড়িয়ে তুলছে।“
এই বছর ওয়ান্ডারওম্যান বিভাগে জুরি বেশকিছু উল্লেখযোগ্য নারী উদ্যোক্তাকে বিচার করেছে। তার মাঝে থেকে বাছাইকৃত অসামান্য বিজয়ীদের মধ্যে রয়েছেন জারিন’স ক্রিয়েশন থেকে আফরোজা সুলতানা, প্রাইম এন্টারপ্রাইজ থেকে কানিজ ফাতেমা, এইমার মার্চেন্ট থেকে সাবিনা ইয়েসমিন, তে রঙ্গ থেকে আতিকা রহমান এবং গ্যারেজ ফুড কোর্ট থেকে নাজনীন কামাল সুপ্তি।
উপরন্তু, এমএসএমই বিজনেস মাইস্ট্রো বিভাগের অধীনে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করা সংগঠনগুলোকেও স্বীকৃতি দিয়েছে। এই বছরের বিজয়ীদের মধ্যে রয়েছেন হালিমা গ্রুপের আবুল কালাম হাসান, সাগর ট্রেডার্সের মোঃ ইব্রাহিম হোসেন, একে ট্রেডার্স লিমিটেডের আবদুল খালেক, আলিন ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেডের ওমর ফারুক এবং আর্টিসান টাইলস অ্যান্ড কংক্রিট প্রোডাক্টস লিমিটেডের মনজুর সাজ্জাদ।
ডিজিটাল ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির জন্য টেক ট্রান্সফর্মার্স বিভাগের অধীনে আরও একদল বিজয়ীকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এই বছরের বিজয়ীদের তালিকায় রয়েছেন ইতালির ফুটওয়্যার থেকে মোঃ আবদুল মান্নান, আর কে মেটাল থেকে পরিতোষ কুমার মালো, ডায়নামিক প্রোলাইসিস থেকে বাবুল চন্দ্র বর্মন, প্ল্যানটেন অ্যাগ্রো লিমিটেড এবং টিডব্লিউসি থেকে ড. খালেদা আদিব।
এছাড়াও, এমএসএমই সম্মাননা বৈশ্বিক কল্যাণের জন্য অবদান রাখা ব্যবসার জন্য চ্যাম্পিয়ন অফ কজ-কে শ্রদ্ধা জানায় এবং এই বিভাগের বিজয়ীদের মধ্যে রয়েছেন ফাউন্ডেশন ফর উইমেন অ্যান্ড চাইল্ড অ্যাসিস্ট্যান্স-এর ওয়াহিদা খানম, ইএসডিও-এর ড. মোঃ শহিদুজ্জমান, নিউরোশেড-এর ঝুমোনা মুল্লিক, মন বাগান-এর সমীরন দত্ত এবং বেলাশেষে-এর তসলিমা ফেরদৌসী মিলি।
এমএসএমই সম্মাননার শেষ বিভাগের মধ্যে রয়েছে নিউজেন আইকন। এই বিভাগটি উদীয়মান এবং উদ্ভাবনী উদ্যোক্তাদের সম্মাননা প্রদান করে। এই বিভাগের বিজয়ীরা হলেন জেআরসি আইওটি বোর্ডের রেদোয়ান ফেরদৌস, পিউপিল স্কুল বাসের মোঃ আবদুর রশিদ সোহাগ, বিগ শটের ফারহান তানভির, কেক স্টোরির নুরুল হাসান এবং শপআপের আফিফ জামান।
এমএসএমই সম্মাননা বিভিন্ন ক্ষেত্র ও অঞ্চলে উদ্ভাবন, স্থিতিস্থাপকতা এবং উৎকর্ষকে উৎসাহিত করতে, এমএসএমই-এর অমূল্য অবদানকে উদযাপন ও প্রচার করে চলেছে। এই সম্মাননাগুলো উদ্যোক্তা, উদ্ভাবন এবং শ্রেষ্ঠত্বের চেতনার প্রমাণ হিসাবে কাজ করে।