২০১৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের এক সভায় পাকিস্তানের সাথে একাডেমিক কার্যক্রমসহ পাকিস্তানি শিক্ষার্থী ভর্তি নিষিদ্ধ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। ৯ বছর পর সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়টির আরেক সিন্ডিকেট সভায় এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়েছে।
১৮ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০১৫ সালে যে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিলো শুধুমাত্র সেটিই বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে ২০১৫ সালের আগে যে সম্পর্ক ছিল সেটিই বহাল থাকবে। এতে করে পাকিস্তানের শিক্ষার্থীরাও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে যেতে পারবে। পাকিস্তানের সঙ্গে শিক্ষা, সংস্কৃতিসহ নানা বিষয়ে বিনিময় করতে পারবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
২০১৫ সালের ১৪ ডিসেম্বর জরুরি সিন্ডিকেটে সিদ্ধান্ত শেষে তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছিলেন, পাকিস্তান ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাত্রি থেকে শুরু করে দীর্ঘ ৯ মাস ধরে এ দেশে বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণহত্যা চালিয়ে তারা অস্বীকার করেছে। এমন মিথ্যাচার রাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পর্ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাখতে পারে না। যতদিন পর্যন্ত তারা গণহত্যা, হত্যা ও নির্যাতনের কথা স্বীকার করবে না ততদিন পর্যন্ত তাদের সঙ্গে এ প্রতিষ্ঠান কোনো ধরনের সম্পর্ক রাখবে না।
ও নতুন করে আমাদের কোনো শিক্ষার্থী পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষার জন্য যাবে না। একইভাবে তাদের কোনো ছাত্রও আমরা গ্রহণ করব না।
এদিকে, গত ১৩ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সিন্ডিকেট সভায় সম্পর্ক পুনরায় স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।