তুলসী পাতার গুণের শেষ নেই। একটি করে পাতা নিয়মিত পানিতে ভিজিয়ে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। ছোট-বড় বিভিন্ন অসুখ থেকে মুক্তি মিলে। আর এ কারণেই যুগ যুগ ধরে আয়ির্বেদ বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে তুলসী পাতা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে আসছেন।
তুলসী পাতার উপকারিতা
• শীত আসার আগে থেকেই ঘরে ঘরে সর্দি, কাশি শুরু হয়ে যায়। এসময় অ্যান্টিবায়োটিক ও কাশির সিরাপের বিক্রি বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া এই ধরনের ওষুধ খাওয়া উচিত নয়। বরং ভরসা রাখুন অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ সম্পন্ন তুলসী ভেজানো পানির উপর। এতে অনেক সমস্যার সমাধান মিলবে।
• কিডনি ভালো রাখতেও সাহায্য করে তুলসী পাতা। তুলসী ভেজানো পানিতে রয়েছে একাধিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কিডনি সুস্থ রাখতে ভূমিকা রাখে। কিডনি থেকে ক্ষতিকর উপাদান বের করতেও ভূমিকা রাখে তুলসী ভেজানো পানি।
• ডায়াবেটিক রোগীদের খুব উপকারী এ পানীয়। এতে থাকা একাধিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য প্ল্যান্ট কম্পাউন্ড ইনসুলিন হরমোনের কার্যকারিতা বাড়ায়। আর এতে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে। সকালের ফাস্টিং সুগার কমাতে এ পাতা ভেজানো পানি খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
• স্ট্রেস কমাতেও কাজ করে তুলসী ভেজানো পানি। কাজবাজ, সংসার ও জীবনের বিভিন্ন চাপ যদি আপনাকে ভোগায়, তাহলে তুলসী পানিতে ভরসা রাখুন। এ পানীয় খেলে মাথা ঠান্ডা থাকে। মানসিক অশান্তি দূরে থাকে।
• তুলসীতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম। পটাশিয়াম প্রেশার কমায়। নিয়মিত এ পানীয় খেলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে। যার ফলে হার্ট সুস্থ থাকে।
• এছাড়াও ত্বক ও চুলের যত্নে বিশেষ ভূমিকা পালন করে এই পানীয়। তাই নিয়মিত তুলসী ভেজানো পানীয়তে চুমুক দিন।
খাওয়ার নিয়ম
বেশি উপকার পেতে কয়েকটি তাজা তুলসী পাতা রাতের বেলা এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে উঠে এই পানি খেয়ে নিন।