প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা দরে। এছাড়া লেয়ার মুরগি প্রতি কেজি ৩০০ টাকা, কক প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা, সোনালি, পাকিস্তানি মুরগি প্রতি কেজি ৩০০-৩২০ টাকা এবং দেশি মুরগি প্রতি কেজি ৬৫০ টাকা থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতারা বলছেন, বাজারে নিম্ন আয়সহ সাধারণ ক্রেতাদের মাংসের চাহিদা মেটাতে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় ব্রয়লার মুরগি। এটিও এখন ভরসা হারাচ্ছে। হঠাৎ করে দাম বেড়ে যায়। এছাড়া সোনালি, লেয়ার, কক জাতের মুরগিগুলো আগে থেকেই অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে। এতে সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাইরেই থেকে যাচ্ছে এসব মুরগি। এছাড়া ৬০০-৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া দেশি মুরগি সাধারণ কেউ কিনে খেতে পারেন না।
রাজধানীর মালিবাগ বাজারে মুরগি কিনতে এসে হাবিবুর রহমান নামে এক ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বেসরকারি একটি চাকরি করি। বেতন দিয়ে পুরো মাস চলাই কঠিন হয়ে গেছে। বাজার খরচই অতিরিক্ত খরচ হয়ে যাচ্ছে। একটা ব্রয়লার মুরগি কিনতেই ৩৫০/৪০০ টাকা লেগে যাচ্ছে। তাও এটা সবচেয়ে কম দামের মুরগি। আমাদের মত সাধারণ ক্রেতারা ব্রয়লার ছাড়া অন্য কোনো মুরগি কিনতেই পারি না। এক বছরের বেশি হবে দেশি মুরগি কিনতে পারি না। আগে মাঝে মাঝে সোনালি মুরগি কিনতাম এখন এর দামও অতিরিক্ত। আজকের বাজারে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা।
মুরগি বিক্রেতা বলেন, আগের তুলনায় ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমে এখন প্রতি কেজি ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে সোনালি, কক, লেয়ার, দেশি মুরগির দাম কিছুটা বাড়তি যাচ্ছে। মূলত মুরগির ফিডের দাম অনেক বেশি, যে কারণে খামারিদের মুরগি উৎপাদনে খরচ বেশি হচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে বাজারে। ব্রয়লার মুরগি ছাড়া অন্যান্য মুরগি বাজারের সরবরাহ তুলনামূলক কম।