লিওনেল মেসির হাত ধরে অনেক বদলে গেছে আমেরিকান মেজর লিগ সকারের (এমএলএস)। ইন্টার মায়ামিতে পরিবর্তনের হাওয়া লাগা তো আরও স্বাভাবিক। পিএসজি ছেড়ে ২০২৩ সালের মাঝামাঝিতে মেসি ক্লাবটিতে যোগ দেওয়ার পর মেন ইন পিঙ্করা দুটি শিরোপা জিতেছে। সেই আর্জেন্টাইন মহাতারকাই বা অপূর্ণ থাকবেন কেন! তার মাথায় উঠেছে এমএলএসের বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের মুকুট।
চলতি বছর ৩৭ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড ইন্টার মায়ামির জার্সিতে ১৯ ম্যাচ খেলে ২০ গোল করার পাশাপাশি ১৬টিতে অ্যাসিস্ট করেন। অথচ জাতীয় দলের হয়ে কোপা আমেরিকা ও চোটের কারণে তিনি ৬২ দিন মাঠে ছিলেন না। তা সত্ত্বেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে তিনি সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন। অবশ্য তার অনুপস্থিতি ভুগিয়েছে দলকে, শিরোপা হাতছাড়া হয়ে এমএলএসে। তবে এমএলএসের দুটি প্রেস্টিজিয়াস ট্রফির মধ্যে একটি সাপোর্টাস শিল্ড জিতেছে মেসি-সুয়ারেজদের মায়ামি।
প্রথমবারের মতো মায়ামির এই অর্জনে সামনে থেকেই নেতৃত্ব ছিল মেসির। যার বদৌলতে আর্জেন্টাইন অধিনায়ক এবারের এমএলএসে মোস্ট ভ্যালুয়েবল খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন। পুরস্কারটি দেওয়া হয় খেলোয়াড়, গণমাধ্যমকর্মী ও ক্লাবগুলোর ভোটে। ২০১৫ সালে লস অ্যাঞ্জেলস গ্যালাক্সির রেকর্ড স্কোরার এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক তারকা ফুটবলার ল্যান্ডন ডোনোভ্যানের নামানুসারে পুরস্কারটির নামকরণ করা হয় ‘ল্যান্ডন ডোনাভ্যান এমএলএস মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার।’
ব্যক্তিগত সাফল্যেও অবশ্য তৃপ্ত নন সাবেক এই বার্সেলোনা ও পিএসজি ফরোয়ার্ড। তার অসন্তোষ দল এমএলএস কাপের ফাইনাল খেলতে না পারায়। আগামীকাল (রোববার) এই প্রতিযোগিতার ফাইনালে লড়বে লস অ্যাঞ্জেলস গ্যালাক্সি ও নিউইয়র্ক রেড বুলস। আগামী আসরে শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে থাকার লক্ষ্য জানিয়ে মেসি বলেন, ‘এই বছর এমএলএস চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনেক বড় স্বপ্ন ছিল আমাদের। এবার সেটা পূর্ণ হয়নি, তবে আগামী বছর আমরা আরও শক্তিশালী হয়ে আবার চেষ্টা করব।’