চট্টগ্রামে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে আটক হন হামিদুর রহমান নামে এক শ্রমিক লীগ নেতা। তিনি পাঁচলাইশ থানায় দায়ের হওয়া একটি হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি। গত জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র–জনতার ওপর হামলার ঘটনায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
এ মামলার এজাহারভুক্ত অন্যতম আসামি হামিদুর রহমানকে ১৭ ডিসেম্বর দুপুরে নগরের আগ্রাবাদে অবস্থিত মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড কার্যালয় থেকে আটক করা হয়। হামিদুর রহমান জাতীয় শ্রমিক লীগের অন্তর্ভুক্ত মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড সিবিএর সাধারণ সম্পাদক। তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের হেড অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে কর্মরত রয়েছেন।
ডিবি সূত্রে জানা গেছে, হামিদুর রহমানকে গোয়েন্দা পুলিশ ধরে নিয়ে যাওয়ার পর মহানগর যুবদলের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি ছাড়িয়ে নেন। ডিবিকে হামিদুর ছাত্রদলের নেতা বলে পরিচয় দেন দীপ্তি। যদিও হামিদুরের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের বেশ কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা গেছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে মোশাররফ হোসেন দীপ্তি বলেন, আমি কাউকে ছাড়ার জন্য থানায় কিংবা অন্য কোথাও যায়নি। আমার রেফারেন্সে এই ধরনের কাউকে ছাড়ার প্রশ্নই ওঠে না।
মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. টিপু সুলতান বলেন, মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে অফিসের সামনে থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে হামিদুর রহমানকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার নামে নাকি মামলা আছে। শুনেছি জিজ্ঞাসাবাদের পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলায়মান বলেন, ওনাকে আমাদের থানায় বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। শুনেছি ওনাকে ভুলক্রমে আটক করা হয়েছে। তিনি সাবেক ছাত্রদল কর্মী। পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, যায়, গত ৮ বছর ধরে মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের শ্রমিক-কর্মচারী সংগঠনের প্রতিনিধিত্ব করে আসছে হামিদুর রহমান। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষ নেতার সঙ্গে হামিদুর সখ্য বজায় রাখতেন। এসময় মেঘনা পেট্রোলিয়ামে তার একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অপরাধ শাখার উপ-কমিশনার (ডিসি) মুখপাত্র রইছ উদ্দিন বলেন, আমি আপাতত ছুটিতে আছি। তাই এ বিষয়ে মন্তব্য করতে পারছি না।