ADHD হল একটি Neuro Developmental Disorder, যা সাধারনত শৈশব/ কৌশরে শুরু হয় এবং
প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে ও স্থায়ী হতে পারে। এটি মানুষের মনোযোগ ধরে রাখার আবেগ নিয়ন্ত্রণ এবং আচরণ
পরিচালনার ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি করে।
ADHD-এর সঠিক কারন এখনো জানা যায়নি, তবে কিছু কারন ও ঝুকিপূর্ণ ফ্যাক্টর Findout করা হয়েছে।
১. মস্তিষ্কের গঠন অস্বাভাবিক থাকলে ADHD হতে পারে।
২. জেনেটিক ফ্যাক্টর।
৩. জন্মের পূর্বকালীন ঝুঁকি।
৪. শিশুকালে বিষাক্ত পদার্থের সংস্পর্শে আসলে ADHD-এর ঝুঁকি বৃদ্ধি পেতে পারে।
৫. শৈশবে মস্তিষ্কের আঘাত বা অক্সিজেনের অভাবে ADHD হতে পারে।
ADHD- এর লক্ষণ সমূহঃ
প্রাধানত ৩টি ভাগে বিভক্ত করা যায়:
১. কোন কাজে মনোযোগ ধরে রাখতে অসুবিধা।
২. হাইপার অ্যাক্টিভিটিঃ অতিরিক্ত গতিশীলতা, চঞ্চলতা, বেশি কথা এবং অনবরত নড়াচড়া করা।
৩. ইমপালসিভিটি ঃ অনের কথা শেষ হবার আগে নিজে কথা বলা, ঝুকিপূর্ণ কাজ করা।
অতিচঞ্চল শিশুকে নিয়ন্ত্রণের কৌশলঃ
একটি হাইপার এক্টিভ শিশুকে নিয়ন্ত্রন করা খুবই কষ্টকর। তবে কিছু কৌশল অনুসরন করে এসব শিশুদের
নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করা যায়। যথা-
১. পরিবারের সুস্পষ্ট নিয়ম তৈরী করা।
২. মনোযোগ বাড়ানোর চেষ্টা।
৩. ইতিবাচক পুরুষ্কার প্রদান।
৪. মন শান্ত রাখতে মিউজিক। তবে হার্ডব্লক মিউজিক শেনাবেন না।
৫. গ্যাজেটের ব্যবহার কমানো।
৬.সঠিক খাদ্যাভাস।
৭. নিয়মিত ম্যাসাজ।
চিকিৎসা (ADHD)-এর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা
১. শিশুর অমনোযোগ, অতিরিক্ত গতিশীলতা এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করা।
২. আচরন ও মানসিক চাপ কমানো।
৩. কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই দীর্ঘ মেয়াদী সমাধান প্রদান
সিনিয়র কনসালটেন্ট, গবেষক, চিকিৎসক ও অটিজম গবেষক।
ডাঃ মোঃ শওকত হোসেন। MBA (HRM) MA, DHMS (DHMC)
আর, এইচ, হোম সেন্টার- ৭৪/বি/১, গ্রীনরোড, ফার্মগেট, ঢাকা।
মোবা : ০১৩১০-৫৮০৩০৫