দলে নেই সিনিয়র ও অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আর টি-টোয়েন্টি ব্যাটিংয়ের অন্যতম নির্ভরতা তাওহিদ হৃদয়ও খেলছেন না ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এ সিরিজে।
এমন তিন গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার ও নির্ভরযোগ্য পারফরমার ছাড়াই ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে তাদের হারিয়েছে বাংলাদেশ। বিজয় দিবসের দিন সেন্ট ভিনসেন্টের কিংসটনে লিটন দাসের নেতৃত্বে ৭ রানের দুর্দান্ত এক জয় পেয়েছে টাইগাররা।
এ জয়ে তরুণদের অবদানই বেশি। তিন তরুন জাকের আলী অনিক, শেখ মেহেদি আর শামীম পাটোয়ারির ব্যাটিংয়ের পর অফস্পিনার শেখ মেহেদি এবং দুই পেসার হাসান মাহমুদ ও তাসকিন আহমেদের বোলিং বাংলাদেশকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেয়।
টপ অর্ডার ব্যাটাররা যথারীতি ব্যর্থ। প্রথম ৪ জনের মধ্যে সৌম্য সরকার (৩২ বলে ৪৩) ছাড়া বাকি তিনজনের অবস্থা খারাপ। তানজিদ তামিম ১১ বলে ৬, লিটন দাস ০ আর আফিফ হোসেন ধ্রুব করেন ১১ বলে ৮ রান।
এরপর হাল ধরেছেন জাকের আলী অনিক (২৭ বলে ২৭), শেখ মেহেদি (২৪ বলে ২৬ অপরাজিত। আর শামীম পাটোয়ারী খেলেছেন ১৩ বলে ২৭ রানের ক্যামিও। মূলত এই তিনজনের দৃঢ়তায়ই স্কোর ১৪৭-এ গিয়ে ঠেকে।
বোলারা সেই ছোট স্কোরকে জয়সূচক পুঁজিতে পরিণত করেন। ব্যাট হাতে রান করার পর অফস্পিনার শেখ মেহেদি ম্যাচ জেতানো বোলিং করেন।
মেহেদির নিয়ন্ত্রিত ও সমীহ জাগানো অফস্পিন মোটেই স্বচ্ছন্দে খেলতে পারেননি ক্যারিবীয়রা। টাইগার অফস্পিনার ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রানে ৪ উইকেটের পতন ঘটালে ম্যাচ বাংলাদেশের দিকে ঘুরে যায়। তারপর শেষ ওভারে হাসান মাহমুদের বুদ্ধিদীপ্ত ও সাহসী বোলিং রাখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
মোদ্দা কথা, টপ অর্ডারের ব্যাটিং ঘাটতি পুষিয়ে দিয়েছেন পরের দিককার ব্যাটাররা। আর বোলাররা করেছেন ছোট পুঁজিকে জয় বানানোর কাজ।
সব খেলায় ওপরের ব্যাটাররা ব্যর্থ হলের পরের দিকের ব্যাটাররা হাল ধরতে পারবেন না। বোলাররাও সব দিন জেতাবেন না। ১৪৭ রানের মামুলি পুঁজি নিয়ে প্রতিদিন শেষ হাসি হাসাও সম্ভব না।
টি-টোয়েন্টি ব্যাটারদের খেলা। ম্যাচ জিততে তাই ব্যাটারদের বড় ভূমিকা নিতে হবে। আর সেই দায়িত্বটা পালন করতে হবে আসলে ওপরের দিকের ব্যাটারদেরই।